সিলেটে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে পরিবেশ অধিদফতর। অভিযান চালিয়ে সিলেট শহরতলীর গোটাটিকরসহ বিভিন্ন এলাকায় ১২টি অবৈধ ক্রাশার মেশিন ধ্বংস করেছে। গতকাল বেলা ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক এমরান হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের গোটাটিকর ও মুরাদপুর এলাকায় সুরমা নদীর তীরে অবৈধভাবে ক্রাশার মেশিন বসিয়ে পাথর ভাঙার কাজ চলছিল। শেষ পর্যন্ত গতকাল অভিযান চালিয়ে গোটাটিকর এলাকায় ৮টি ও মুরাদপুর এলাকায় ৮টি ক্রাশার মেশিনের বেল্ট কেটে ও আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়। নজরুল ইসলাম নামের এক অবৈধ ক্রাসার মালিকের পাথরও জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক এমরান হোসেন বলেন, ‘অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যদি তারা আবারও আইন অমান্য করে মেশিন চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চার বছর পর ইসিএ’র সভা : এদিকে, সিলেটের জাফলংয়ের প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনসহ পরিবেশ বিধ্বংসী সবধরনের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গোয়াইনঘাট থানার ওসিকে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ আইনবীদ সমিতি বেলা। বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা এই চিঠি পাঠানোর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রবিবার চার বছর পর ইসিএ জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাফলংয়ের পরিবেশ রক্ষায় সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া ইসিএ’র নতুন জেলা কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।