বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

১০০ একর খাসজমি চূড়ান্তে মাঠে প্রশাসন

খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রিসভার খসড়া অনুমোদনের পর উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। এতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মানোন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ সম্ভব হবে। এদিকে খসড়া অনুমোদনের পর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রায় ১০০ একর খাসজমি চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে খুলনা-রূপসা হাইওয়ে লবণচরা থানার পাশে প্রায় ৬০ একর জমি এবং একই এলাকায় ৫০ একরের আরও একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের প্রস্তাবিত নতুন বর্ধিত সীমানার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ১০০ একর নিষ্কণ্টক খাসজমি নেওয়া হবে, যাতে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা বা আর্থিক ব্যয় কম হয়। জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়াই জনপ্রতিনিধি ও খুলনা জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর নামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিলালিত খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেন। পরে জেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা এবং খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সর্বশেষ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য খুলনা শহরের পাশে ১০০ একর জমির সংস্থান আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা ২০২০’-এর নীতিগত অনুমোদন হয়। এদিকে খুলনায় শেখ হাসিনার নামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের  অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে উন্নত চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারিত হবে।

 

সর্বশেষ খবর