গাজীপুরে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়াসহ দেড়শ ভাগ ঈদ বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে। এ সময় শ্রমিকদের মারধরে কারখানার উপব্যবস্থাপক আহত হয়েছেন। কারখানার উপব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা এলাকার শফি টেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কোনো বকেয়া পাওনা নেই। তাদের সব পাওনাদি নির্ধারিত সময়েই পরিশোধ করা হয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের শতকরা ৫০ ভাগ বোনাস শ্রমিকদের পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ শ্রমিকরা কয়েকদিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে গত ঈদুল ফিতরের অবশিষ্ট ৫০ ভাগ ও আসন্ন ঈদুল আজহার শতভাগসহ মোট দেড়শ ভাগ ঈদ বোনাস এবং বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবি অযৌক্তিভাবে জানিয়ে আসছিল। শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ আসন্ন ঈদুল আজহার শতভাগ বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের ওই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকরা। শিল্প পুলিশের এসআই সুব্রত দেব ও স্থানীয়রা জানান, শ্রমিকরা কারখানায় ঢুকে মেইন গেইট তালাবদ্ধ করে দেয়। এ সময় তারা দেড়শ ভাগ ঈদ বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির টাকা পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করে এবং কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে তারা কারখানার উপব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানকে (৬৫) মারধর করে। এ সময় তারা কারখানার দরজা জানালার কাচসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও গেইট তালাবদ্ধ থাকায় ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
একপর্যায়ে পুলিশ কৌশলে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। বৈঠকে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে কাজে যোগ দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।