সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

হাটে যুবরাজ, দাম সাত লাখ

মোস্তফা কাজল

হাটে যুবরাজ, দাম সাত লাখ

ঈদুল আজহায় গাবতলী হাটের প্রধান আকর্ষণ যুবরাজ। বিক্রেতা দাম হাঁকছেন সাত লাখ টাকা। মুন্সীগঞ্জের ব্যাপারী ইসমাইল মিয়া বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন এই  ষাঁড় গরু যুবরাজকে। কোরবানি ঈদের আর চার দিন বাকি। এরই মধ্যে জমতে শুরু করেছে রাজধানীর দুই সিটির ১৭ গবাদিপশুর হাট। এসব হাটে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রির জন্য আসতে শুরু করেছে। বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এছাড়া বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। ছোট গরুর দাম ৩৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে। বড় গরু ৭০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত হাঁকা হচ্ছে।

খাসি পাঁচ থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের মধ্যে দেখা গেছে। আরও দেখা গেছে মহিষ। দাম হাঁকা হচ্ছে ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। আজ থেকে ঢাকার গাবতলীসহ সারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে গবাদিপশুর হাট শুরু হবে। গাবতলী হাটের ইজারাদার প্রতিনিধি মো. শানু মিয়া জানান, আজ ভারতের রাজস্থানের বড় বড় উট আসার কথা। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, ফরিদপুর ও মাদারীপুর থেকে বড় গরু আসার কথা আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের হাট পরিচালিত হচ্ছে। এ কারণে হাটের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি গরু থেকে অপর গরুর দূরত্ব তিন থেকে চার ফুট রাখা হচ্ছে। আরও আছে ভেটেরিনারি টিম ও পুলিশের মনিটরিং সেল।

গতকাল হাট ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয় হাজার গরু এ হাটে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। গরু ব্যাপারী ও যুবরাজ গরুর মালিক ইসমাইল মিয়া কৃষি কাজ করেন। কিন্তু কোরবানির জন্য গরু পোষা তার শখ। শুধু শখ নয়, এর মধ্য দিয়ে বছরে একটা বাড়তি আয়ও করেন তিনি। এ বছর যে গরুটি নিয়ে এসেছেন তার দাম চাইছেন ৭ লাখ টাকা। তিনি জানান, দুই বছর আগে তিনি এই দেশি জাতের গরুটি কেনেন। এরপর কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে দুই বছর ধরে লালন-পালন করে বড় করেছেন। গত বছরও দুটি গরু এনেছিলেন। ভালো দামে বিক্রি করেছিলেন। গতকাল পর্যন্ত এই গরুর দাম সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বলেছেন। আশা করি ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব। গাবতলী গরুর হাটে খামারের বিদেশি জাতের গরুও উঠেছে। এসব গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে সোয়া দুই লাখ টাকা হাঁকা হচ্ছে। আর সেগুলোর নামও বাহারি- যেমন ডায়মন্ড, বস ও প্রিন্স। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী  থেকে অন্যান্য গরুর সঙ্গে বিদেশি জাতের গরু নিয়ে এসেছেন শরিফ হোসেন ঢালি। তিনি জানান, তার গরু অ্যামেরিকান ব্রামা জাতের গরু। স্থানীয় পশুসম্পদ অফিস থেকে তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপকরণ সংগ্রহ করে স্থানীয় জাতের গরুতে প্রয়োগ করেছেন। তিনি গরুর দাম চাইছেন ১ লাখ থেকে চার/ পাঁচ লাখ টাকা। তিনি জানান, এ হাটে আরও বড় গরু আসতে পারে। তবে এখন তেমন ক্রেতা নেই। আরও দুই-তিন দিন পর হাট জমবে, ক্রেতা বাড়বে। পাশাপাশি ছাগল উঠেছে বেশ কয়েকশ। ছাগল বিক্রেতাদের ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। এখন যারা আসছেন তারা আসলে গরু দেখতে আসছেন। বাংলাদেশ গবাদিপশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, এবার সব গরু দেশি। মিয়ানমার এবং ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ। এসবের পাশাপাশি রয়েছে করোনার ভয় এবং বন্যার পানি। তারপরও অল্প কিছু গরু চোরাচালানের মাধ্যমে আসছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর