শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

জয়ের রূপকল্পে ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রূপকল্পেই বাংলাদেশ ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার জন্মদিন উপলক্ষে ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় ও প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান বর্ণ বক্তব্য রাখেন। গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অনলাইনে যোগ দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব অর্থাৎ দেশ-সমাজকে ডিজিটালাইজ করা, রোবটিক্স প্রযুক্তি প্রভৃতির প্রয়োগে যোগ দেওয়ার জন্যই শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন। কারণ প্রথম তিন শিল্পবিপ্লবে আমরা যুক্ত হতে দেরি করেছি। প্রথম শিল্পবিপ্লব বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের প্রায় ১০০ বছর পর, দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব বিদ্যুৎ আবিষ্কারের বেশ কয়েক দশক পর এবং তৃতীয় শিল্পবিপ্লব কম্পিউটার আবিষ্কারেরও বেশ পরে আমরা সেটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান যেখানে আমরা দিয়েছি ২০০৮ সালে। সেখানে ডিজিটাল ভারতের স্লোগান এসেছে ২০১৪ সালে। এমনকি যুক্তরাজ্যও আমাদের কয়েক বছর পর ডিজিটাল দেশ রচনার স্লোগান দেয়। অর্থাৎ প্রথম তিনটি শিল্পবিপ্লব আমাদের এই জনপদ পিছিয়ে থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ ও ভবিষ্যৎ দ্রষ্টার কাছ থেকে ধারণা আসার কারণে আমরা ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৮ সালে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছিল। তার ধারণা প্রসূত এই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে যখন দেয়, তখন অনেকেই এটি নিয়ে হাস্যরস করেছিল। যার কারণে অনেকেই এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্নের কথা নয়, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন একজন পিতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসী ছেলের কাছ থেকে টাকা পেয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা এসএমএস করে এবং ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে তার কাছে পরীক্ষার ফলাফল চলে আসে। বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে বসে কিংবা বঙ্গোপসাগরের নির্জন দ্বীপ থেকেও একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে দরখাস্ত করতে পারেন- এটিই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, চার-চারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিনে আমি তাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তার নেতৃত্ব ও সঠিক দিকনির্দেশনা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে, তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, ভবিষ্যতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় : সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শিরোনামে আরও একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর