মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকার নিজের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধী-সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না। কিন্তু বিএনপি সমর্থিত কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে অভিযোগ কেন? গতকাল ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে এই ভিডিও মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোথায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে প্রমাণ দিন? তিনি বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অসংখ্য নজির আছে।

শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে। কোথাও রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন রাজনৈতিক কারণে বিএনপির কোন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? তিনি বলেন, যারা এদেশের রাজনীতিতে রক্তপাত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা আরেক ষড়যন্ত্রের অংশ।

আগস্ট এলেই আতঙ্ক বেড়ে যায় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, এদেশের মাটি বীরের বীরত্বগাথায় উর্বর, আবার বিশ্বাসঘাতকতার নিকৃষ্ট নজিরও এখানে আছে। এখানে দেশপ্রেমের যেমন বিরল দৃষ্টান্ত আছে, ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রের গন্ধও আছে। এদেশে ঘটনার আগে কিছু বোঝা যায় না। তিনি বলেন, হঠাৎ করে চোখের পলকে ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছিল। ২১ আগস্টের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল কারা? কারা তখন ক্ষমতায় ছিল। বিএনপিই ছিল মাস্টারমাইন্ড। যারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে ঘুরানোর অপচেষ্টা করেছিল তাদের মুখে হত্যার বিচার চাওয়া কি শোভা পায়?

অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্‌বান জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের এ সময় দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা এবং বাসাবাড়িতে অবস্থান করায় শিশু-কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বেড়েছে। সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অনলাইনে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আমি অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্‌বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার আগে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীকে নিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে প্রকৌশলীদের তদারকি আরও নিবিড় হতে হবে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। যেসব ঠিকাদার সময়মতো কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর