হাই কোর্টে পক্ষে আদেশ পাওয়ার পরও নিজের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলায় দুদক কীভাবে চার্জশিট দিল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এই মামলায় দুদকের তদন্ত করার কোনো এখতিয়ার নেই বলেও জানান তিনি। গতকাল সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন তিনি। জানতে চাইলে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, দুদকে দায়ের করা অভিযোগটি তদন্ত করার এখতিয়ার দুদকের ছিল না। এ কারণে তদন্তের দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলাম। হাই কোর্ট ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করে। শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করে হাই কোর্ট।
ফলে এই মামলার তদন্ত করার কোনো এখতিয়ার দুদকেই আর থাকে না। তিনি বলেন, হাই কোর্টের আদেশের পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা কীভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেন এটি আমার বোধগম্য নয়। দুদক এই বিষয়ে আরও জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হতো।
এ বিষয়ে কাজী ফিরোজ রশীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, উক্ত মামলার ভূমির বিষয়ে দেওয়ানী আদালত কাজী ফিরোজ রশীদের অনুকূলে প্রচারিত রায় ও ডিক্রি বলবৎ রয়েছে।এর আগে গতকাল সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম দুদকের জিআর শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, রাজধানীর ৯/এ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে এক বিঘা সরকারি জমিসহ বাড়িটি প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর-৬৫ ভুয়া দাতা সাজিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদক পরিচালক (সাবেক উপ-পরিচালক) জুলফিকার আলী বাদী হয়ে মামলা করেন।