আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যদি সেটি আমরা আজকে না করি, তাহলে আজ থেকে শতবর্ষ পরে যে ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে কুশীলবদের নাম থাকবে না। কারা এই ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রজন্ম জানতে পারবে না, পৃথিবীর ইতিহাস সেটি জানতে পারবে না। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিরাট একটি ষড়যন্ত্র ছিল, সেই ষড়যন্ত্রের অনেক নট-নটী ছিল। সুতরাং এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সভার সূচনা দিবসে তিনি এসব কথা বলেন। ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় এতে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ওমর ফারুক, কাজী রফিক প্রমুখ বক্তৃতা করেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শত শত বছর পরের ইতিহাসে যাতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের নাম লিপিবদ্ধ থাকে, ইতিহাসকে সত্য জানানো যায়, সে জন্য এবং ইতিহাসের সত্য উদ্্ঘাটনের স্বার্থে, ভবিষ্যতের জন্য সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। যারা জীবিত আছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার। এটি না হলে ইতিহাসের কাঠগড়ায় হয়তো আমাদের দাঁড় করানো হতে পারে। সে জন্যই এটি করা প্রয়োজন।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যে বছর হত্যা করা হয়, সে বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ এবং তখন বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। অনেক পরিসংখ্যান মতে, সে বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ যাতে ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক আইন করেছিলেন। সেসব আইনের ভিত্তিতেই আমরা পরবর্তী সময়ে সমুদ্রসীমা, স্থলসীমা, তেল-গ্যাসক্ষেত্রে নিজেদের অধিকারসহ অনেক কিছু অর্জন করেছি।’