বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
বরিশাল

ক্লিনিক ডায়াগনস্টিকের অনুমোদন দীর্ঘসূত্রতায়

রাহাত খান, বরিশাল

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বেঁধে দেওয়া (২৩ আগস্ট) সময়ের মধ্যে বরিশাল মহানগর এবং বিভাগের ৬ জেলার ১ হাজার ২০৩টি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাব রেজিস্ট্রেশন করেছে। তবে এর মধ্যে হালনাগাদ কাগজপত্র রয়েছে ৩৫৩টির। বাকি ৮৫০টি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাবের লাইসেন্স প্রাপ্তি কিংবা নবায়ন কবে, কীভাবে হবে তা জানা নেই সংশ্লিষ্টদের। হালনাগাদ কাগজপত্র পেতে লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজীকরণের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতারা। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। ঢাকায় রিজেন্ট হাসপাতালের করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি ধরা পড়ার পর গত মাসে সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাবের কাগজপত্র হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৩ আগস্টের মধ্যে সব বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাবের তথ্য প্রেরণের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের হিসাবে আগে বরিশাল বিভাগে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাবের সংখ্যা ছিল ৯৫০টি। এর মধ্যে হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র ছিল ২৭৪টির। গত ১ মাসে নতুন আবেদন করা ২৫৩টিসহ এখন বরিশালে রেজিস্টার্ড বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাবের সংখ্যা ১ হাজার ২০৩টি। যার মধ্যে হালনাগাদ কাগজপত্র রয়েছে ৩৫৩টির।

গত এক মাসে হালনাগাদ কাগজপত্র পেয়েছে মাত্র ৭৯টি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক-ল্যাব। সে হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করেও এখন পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্র পায়নি ৮৫০টি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাব। বৈধ কাগজপত্র না পাওয়া হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাবগুলো কীভাবে চলবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও নেই। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ বিভিন্ন সংস্থার অভিযান আতঙ্কে দিন কাটছে হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাব মালিকদের।

নগরীর বান্দ রোডের রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান কাজী মিরাজ মাহমুদ বলেন, একটি ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স পেতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ সরকারের ১২টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন কেন প্রয়োজন হবে। তারা হালনাগাদ কাগজপত্রের জন্য আবেদন করেছেন। কবে নাগাদ হালনাগাদ কাগজপত্র পাবেন তা অনিশ্চিত। স্বাস্থ্য অধিদফতর সময়ক্ষেপণ করায় যথাসময়ে কাগজপত্র পাচ্ছেন না তারা।

বরিশাল ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী লিকু বলেন, তার হাসপাতালের ২০১৮-২০১৯ লাইসেন্স নবায়নের জন্য ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন জমা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক কার্যালয় বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে প্রধান করে পরিদর্শন কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে ইতিবাচক রিপোর্ট ঢাকায় পাঠিয়েছে। গত ১৮ মাসেও নবায়নকৃত লাইসেন্স হাতে পাননি।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, মহাপরিচালক কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৩ আগস্ট বিভাগের ৬ জেলা ও মহানগরের ১ হাজার ২০৩টি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক-ল্যাবের তথ্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৩টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও নবায়নকৃত। বাকিদের আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে।

 

সর্বশেষ খবর