বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

কেউই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি বাড়ছে করোনা আতঙ্ক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দৈনন্দিন জীবনাচারে মাস্ক ব্যবহারে ১২টি নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এসব নির্দেশনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। ফলে যেখানে যার যেমন ইচ্ছা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাফেরা করছে। গণপরিবহনসহ সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে। তবু স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা-সচেতনতা দেখা যায় না। অথচ প্রতিদিনই নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। সর্বশেষ রবিবার এক দিনেই ৭৮ জন শনাক্ত হন। জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জীবনাচারে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মাস্ক ব্যবহারে ১২টি নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা প্রদান প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারের দৃশ্য দেখা গেলেও বাকিগুলোয় তেমন চোখে পড়ে না। বিশেষত শপিং মল, মার্কেট, দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা, হাটবাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, গণপরিবহন, হকার, রিকশা, ভ্যানচালক ও পথচারী, হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা খুবই কম।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘সরকার শর্ত সাপেক্ষে স্বাভাবিক জীবনাচার করতে বলেছে। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

 এখন কেউ যদি মনে করেন দেশে এখন করোনা নেই, ইচ্ছামতো বাইরে চলাফেরা করা যাবে, সেটা মারাত্মক ভুল ধারণা।’

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ‘গণপরিবহনসহ সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে এখানে জরুরি কথা হলো, প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধিসংবলিত নির্দেশনা মানতে হবে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ১৬ হাজার ৬১২ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ১১ হাজার ৭৯০ ও ১৫ উপজেলায় ৪ হাজার ৮৫২ জন। ইতোমধ্যে মারা গেছেন ২৬৫ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১৮৪ আর ১৫ উপজেলায় ৮১ জন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ হাজার ১১৫ জন।

সর্বশেষ খবর