বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকায় বিজিবি বিএসএফ বৈঠক ১৩ সেপ্টেম্বর

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার পিলখানায় বৈঠকে মিলিত হবে। বৈঠক চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বৈঠকের অনেক বিষয়ের মধ্যে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়। সরকারি সূত্র জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ১৮-১৯ আগস্ট দুই দিনের ঝটিকা সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরদিন তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ক্রমবর্ধমান সীমান্ত হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শ্রিংলা ভারতে ফিরে প্রথমেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে অবিলম্বে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। সেই অনুযায়ী এই বৈঠক হতে চলেছে।

বিএসএফের নতুন অধিকর্তা রাকেশ আস্থানা কমপক্ষে এক ডজন অফিসার নিয়ে ঢাকা যাবেন। রাকেশ বলেন, করোনার মধ্যে এই প্রথম ভারতের বিশাল সরকারি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করছেন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যই। প্রতিনিধি দলে মাদক দ্রব্য পাচার নিরোধ দফতর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কয়েক জন বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার থাকবেন। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সফিনুল ইসলাম। ভারত সরকারের সূত্র জানায়, সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতে গত বছর ডিসেম্বরে। এবারের বৈঠকে ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্তের প্রত্যেকটি সেক্টর নিয়ে আলোচনা হবে এবং সীমান্তে নতুন প্রটোকল ঘোষণা হবে।

ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, যেখানে কাঁটাতার নেই সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে কাঁটাতার দেওয়া, সীমান্ত পারের অপরাধ দমন বিষয় উত্থাপন করা হবে। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। সরকারি সূত্রের মতে, এবারের বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিএসএফ জওয়ান ও ভারতীয় নাগরিকদের ওপর ‘হামলা’ বিষয়টি তথ্য দিয়ে জানানো হবে। এসব অপরাধের নেপথ্যে দুই দেশেরই অপরাধীরা জড়িত বলে ভারত সরকারের দাবি।

এ ছাড়া গরু পাচার, জাল নোট পাচার, অনুপ্রবেশ-মানব পাচার, আন্তর্জাতিক সীমান্তের বেড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভেঙে ফেলা। ভারত সরকারের অফিসারের মতে প্রহরার ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশও ভারতের নাগরিক নন, এমন অসাধু ব্যক্তিরা ভারতে প্রবেশ করছে। এর জন্য যৌথ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিবছর দুইবার এই আলোচনার ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯৩ সাল থেকে।

 

 

সর্বশেষ খবর