বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

মৃত স্কুলছাত্রী জীবিত উদ্ধার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাই কোর্টে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জীবিত থাকা সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায় সংক্রান্ত সদর থানার কার্যক্রমের বৈধতা ও যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৫ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদনটি দাখিল করেন। আবেদনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় করা মামলা এবং মামলা পরবর্তী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা, বৈধতা এবং যৌক্তিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই মামলার নথি তলবেরও আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ মূল মামলার বাদী এবং আসামিদের বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে ২৪ আগস্ট ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া স্কুলছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পরে ওই প্রতিবেদনটি হাই কোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এরপর আদালত আইনজীবীকে লিখিতভাবে হাই কোর্টে আবেদন করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল হাই কোর্টে এ বিষয়ে একটি রিভিশন আবেদন দাখিল করা হয়।  গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ৪ জুলাই ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসা নিখোঁজ হয়। পরে ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আবদুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন যে, তারা ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেন। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিয়েছে। যেখানে দিসা অক্ষত অবস্থায় ফেরত এসেছে।

সর্বশেষ খবর