শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

১৯ মাস পর কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

১৯ মাস পর কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

১৯ মাস পর গতকাল কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০ একর ভূমি, আলোর মুখ দেখে পাঁচটি খালের মুখ। এরপর গত ১৯ মাসেও আর কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। ১৯ মাস পর গতকাল আবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে পরিচালিত অভিযানে ২০০ কাঁচা ও সেমিপাকা ঘর, দোকান ভেঙে প্রায় ১০ একর ভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহছান মুরাদ। বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ বলেন, ‘কর্ণফুলীর উত্তর পাড়ে সদরঘাট থেকে মাঝিরঘাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।  উচ্ছেদকৃত জায়গায় আবারও কিছু অবৈধ দখলদার দোকানঘরসহ নানা স্থাপনা তৈরি করার খবর পেয়ে পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।’ চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী এস্টেট ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে ৩০ জন শ্রমিক ও ৩০ জন আনসার সদস্য অংশ নেন। এ সময় ২০০ কাঁচা, সেমিপাকা ঘর ও দোকানসহ ২০০ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সরেজমিন দেখা যায়, ১৯ মাস আগে উচ্ছেদকৃত স্থানগুলো আবারও ট্রাক-লরি এবং পণ্য লোড আন-লোডের ঘাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। তাছাড়া এসব এলাকায় তৈরি হয়েছে ছোট ছোট টংয়ের দোকান। উচ্ছেদকৃত স্থানে রাখা হয়েছিল  ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্য। কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নেওয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। কিন্তু উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় নদীরক্ষায় প্রণীত মহাপরিকল্পনা হিমাগারে পড়ে আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর