চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কুমিরায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের মামলায় জামায়াত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলামসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেয়। অন্য পাঁচ নেতা হলেন অধ্যাপক আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব রহমান, ড. কাওসার, মো. শফিকুল আলম ও নিজাম উদ্দিন। তারা সবাই আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলায় আ ন ম শামসুল ইসলামসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তারা এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন।
হাই কোর্ট আসামিদের নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল। গতকাল তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। পরে আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সীতাকু- থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আ ন ম শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক আহসান উল্লাহসহ ছয় ব্যক্তিকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জাতির জনকের ছবি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।’প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অতিরিক্ত পিপি ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সীতাকু- থানায় একটি মামলা করেছিলেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সীতাকু- উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ওই ক্যাম্পাসে গিয়ে ছবি ভাঙচুরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেন।