স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ১৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণে মাটি পরীক্ষা, মাস্টার প্লান তৈরি, কৃষি গবেষণাসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যক্রম শুরুর দুই বছরের মধ্যে এখানে ৫টি অনুষদ চালু করা হয়েছে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩০ জন শিক্ষক। তারা করোনাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করছেন। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যালেন্সর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে কী ধরনের স্থাপনা হবে ও গবেষণা ল্যাব, একাডেমিক, আবাসিক ভবন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৫০ বছরের জন্য একটি মাস্টার প্লান তৈরি করা হচ্ছে। লবণাক্ত পানির প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া সেশনজটমুক্ত শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করতে অনলাইন ক্লাস চালু করা হয়েছে। গতকাল নগরীর দৌলতপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ অনলাইন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যালেন্সর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান। একই অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ভাইস চ্যান্সেলরের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আশিকুল আলম। পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, মাস্ক বিতরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, ড. ফেরদৌসী বেগম, ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ড. এম এ হান্নান, ডা. মো. তসলিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।