সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন উষ্ণ : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন উষ্ণ : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ, মসৃণ এবং ভবিষ্যৎমুখী। শেখ হাসিনার সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছে আস্থার সম্পর্ক যা পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এখন একে অপরের সহায়ক। গতকাল  ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। শেরেবাংলা নগরের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন মন্ত্রী। এ সময় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ।

, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে দুই দেশ একে অপরের সহায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। উভয় দেশের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ভারত আমাদের বড় প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলে পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি হলে দুই দেশের মধ্যকার অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সহজে সমাধান সম্ভব। তার প্রমাণ ছিটমহল বিনিময় ও সীমান্ত সমস্যাসহ অনেক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন কোনো কোনো সরকার দুই দেশের সম্পর্ককে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছে আস্থার সম্পর্ক। পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এখন একে অপরের সহায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় ঋণ কর্মসূচির আওতায় আমরা বাস্তবায়ন করছি বেশ কিছু প্রকল্প। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে তা এগিয়ে নিতে হবে উন্নয়নের স্বার্থেই। দাফতরিক যোগাযোগসহ অন্যান্য যোগাযোগ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন আমি কথা বলব।

ঢাকার বাইরের প্রকল্পের অফিস ঢাকায় থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে  সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরজুড়ে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসবের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? যেখানে যাই সেখানেই সড়কের অফিস, প্রকল্পের অফিস। বেইলি রোড, বনানী, গুলশান, বনানী কবরস্থানের পাশে, শ্যামলী, মিরপুর, কত প্রয়োজন? তাহলে আলাদা করে সড়ক ভবন কেন? ভবিষ্যতে প্রকল্প গ্রহণের সময় অফিসসহ অন্যান্য স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখতে হবে।

সর্বশেষ খবর