স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সরকার কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে কৃষি ও খাদ্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে করোনার মধ্যেও খাদ্যাভাব পরিলক্ষিত হয়নি। যেসব কৃষকের নিজ জমি নেই, তাদের জন্য বিশেষ জামানতবিহীন কৃষিঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকের মাঝে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ফিউচার আর্থ সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অফিস আয়োজিত গভর্নিং কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক সভায় কাউন্সিল সদস্য হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের সভাপতি ডক্টর কে কাস্তুরি রঙ্গন। ভারতের অর্থসংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রেম দাস রায়, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, উদ্যোগ এবং পানিসম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাজীব প্রতাপ রুদি, ধরিত্রি বিজ্ঞান- জিওআই, নয়াদিল্লির সচিব এম. রাজিভন, ফাউন্ডেশন ফর ইকোলোজিক্যাল সিকিউরিটির প্রধান নির্বাহী জগদীশ রাও পুপালা, জল ভাগীরথী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ও প্রধান নির্বাহী পৃথ্বীরাজ সিং, ভুটানের কৃষি ও বনমন্ত্রী লিউনপো ইয়াশেই পেনজর, জাতীয় মৃত্তিকাসেবা কেন্দ্রের পরিচালক কর্ম দেমা দর্জি, ভুটান ট্রাস্ট ফান্ড ফর এনভায়রনমেন্টাল কনভার্সেশনের প্রাক্তন পরিচালক পেমা চয়েপায়েল প্রমুখ।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষকবান্ধব নীতি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। গত দশ বছর ধরে সরকার বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এই সফলতার পেছনে খেটে খাওয়া কৃষক-মজুরদের অবদান অনস্বীকার্য। এছাড়া কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি, কৃষিকাজে স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য কৃষকদের মাঝে স্মার্টকার্ড সরবরাহ, কৃষিপণ্য যেমন-বীজ, কীটনাশক বিতরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।