করোনা সংক্রমণের কারণে সাত মাস বন্ধ থাকার পর বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান খুলে দেওয়া হচ্ছে দর্শনার্থীদের জন্য। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই উদ্যানে আবার দেশি-বিদেশি পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবেন। গতকাল বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, লাউয়াছড়ায় সীমিত সংখ্যক পর্যটক প্রবেশ করতে পারবেন। পর্যটকদের সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া লাউয়াছড়ায় প্রবেশের সময় সব পর্যটকের মুখে মাস্ক থাকতে হবে। খুলল ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ি : কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, অবশেষে ভক্ত আর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। লালন একাডেমির সভাপতি জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সাত মাস ধরে বন্ধ ছিল বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের এ আখড়াবাড়ি। গত বছর দোল পূর্ণিমার উৎসবও ছোট পরিসরে করা হয়। আর এবারের তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। এই আখড়াবাড়ি জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র আগেই খুলে দেওয়া হলেও লালন আখড়াবাড়ি বন্ধ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আখড়াবাড়ি খুলে যাওয়ায় খুশি সাঁইজির ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। লালন একাডেমির সভাপতি জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান, ভক্তদের কথা মাথায় রেখে আখড়াবাড়ি খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে আসা দর্শনার্থী-ভক্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে।