বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের টানা তৃতীয় দিনের কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সিনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এদিকে রোগীদের জিম্মি করে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি যৌক্তিক নয় বলেছেন হাসপাতালের পরিচালক। তিন দফা দাবিতে গত শনিবার দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসায় মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়। দু-তিন দিনেও ডাক্তারের দেখা পাননি অনেক রোগী। মুমূর্ষু রোগীর জন্যও ডাক্তার ডেকে পাওয়া যায় না। পূর্বনির্ধারিত অপারেশনও হচ্ছে না। এ কারণে রোগী মৃত্যুর হারও বেড়েছে। গত দুই দিনে এ হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৬ জন রোগী। যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ জাহান বলেন, ‘রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে মিডলেভেল ডাক্তারদের ওপর চাপ বেড়েছে।’ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, ‘রোগীদের জিম্মি করে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি যৌক্তিক নয়। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।’ গতকাল এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ১ হাজার ৪২৯ জন। ১ হাজার শয্যার হাসপাতালে জনবল কাঠামোয় ডাক্তার থাকার কথা প্রায় ৫০০। কিন্তু এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯০ জন চিকিৎসক। হাসপাতালে ১৯০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক মূলত চিকিৎসার প্রাথমিক পর্ব সম্পন্ন করতেন।
তিন দিন ধরে তারা না থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।