নিজ সংগঠনের কর্মীকে হত্যাচেষ্টার আসামি ও বয়স উত্তীর্ণ ছাত্রকে সভাপতি করে কক্সবাজার ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করায় কমিটিকে অবৈধ ও সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পদবঞ্চিতরা প্রধান সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। গতকাল রাত ৮টার দিকে শহরের লালদিঘি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পদবঞ্চিতরা। পরে পুলিশ এসে এক ঘণ্টা পর শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ১৪ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি এবং মারুফ আদনানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অন্যান্য পদের মধ্যে সহসভাপতি করা হয়েছে চারজন। তারা হলেন- মইন উদ্দীন, কাউসার উল আলম মুন্না চৌধুরী, বোরহান উদ্দীন খোকন ও নারিমা জাহান। যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে চারজনকে। তারা হলেন- আনোয়ার হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদুল হক, মো. শওকত হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে চারজনকে। তারা হলেন- ওয়াসিফ কবির, কামরুজ্জামান হিরু, এহসানুল হক মিলন ও গাজী নাজমুল হক। ঘোষিত কমিটিতে প্রকৃত ছাত্র ও ত্যাগীদের বঞ্চিত করে বয়সোত্তীর্ণ ও অছাত্রদের পদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাৎক্ষণিক এ প্রতিবাদ করছে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। জানা যায়, সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি কক্সাবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায় আরেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সল আবদুল্লাহর ওপর সরাসরি গুলি করে হত্যাচেষ্টা চালায়। ওই ঘটনায় আবদুল্লাহর ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে ১৪ জানুয়ারি সদর মডেল থানায় সাদ্দামকে আসামি করে মামলা করেন।