সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা ও আবেদন ফি কমানোসহ চার দফা দাবিতে শাহবাগে ‘শিকলবন্দি সমাবেশ’ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল বিকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন অর্ধশতাধিক চাকরিপ্রার্থী। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা; আবেদন ফি কমিয়ে ৫০-১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা; নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া; তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা প্রভৃতি। সমাবেশে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশের সব নাগরিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। একই সঙ্গে সেশনজট ও শিক্ষাব্যবস্থার কারণে যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে প্রায় ৩০ বছর পার করে ফেলেন সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রের উন্নতির প্রয়োজনে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা একটি যৌক্তিক দাবি। ৩০-এর পরেই এসব শিক্ষার্থীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঘোষণা করা এক ধরনের মানবতাবিরোধী কাজ। তিনি বলেন, সরকার আমাদের এ যৌক্তিক দাবিকে তোয়াক্কা না করে বেকার শিক্ষিত সমাজকে অপমান, অবহেলা, অবমাননা করেই আসছে। অথচ ক্ষমতায় আসার আগে এই সরকারই কথা দিয়েছিল, তারা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে। লাখ লাখ মেধাবী শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে বয়সের শিকল থেকে মুক্তি দিতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।