রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের নির্মাণ কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জুন নাগাদ। এর পরই নভোথিয়েটারের দুয়ার খুলে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য। ইতিমধ্যে নভোথিয়েটারের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রায় ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি দেশের দ্বিতীয় নভোথিয়েটার। করোনার ধাক্কা সামলে এখন পুরোদমে নভোথিয়েটার নির্মাণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের (ডিভিশন-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা। রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে দুই দশমিক ৩০ একর জায়গাজুড়ে ইতিমধ্যে মাথা তুলছে নভোথিয়েটারের মূল কাঠামো। মাসুদ রানা জানান, এ প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৫-২০১৮ সাল ধরা হলেও বিলম্বে কাজ শুরুর কারণে শেষ পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদকাল বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে ৪৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই আলোর মুখ দেখবে রাজশাহী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২২২ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয় ধরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রাজশাহী স্থাপন’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এটির প্রথমে বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৫-২০১৮। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি এখন বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদফতর। সবশেষ প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নভোথিয়েটারে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল প্রজেক্টর সিস্টেমযুক্ত প্ল্যানেটরিয়াম, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ডিজিটাল এক্সিবিটস, ফাইভ-ডি সিমিউলেটর থিয়েটার, টেলিস্কোপ, কম্পিউটারাইজড টিকেটিং অ্যান্ড ডেকোরেটিং সিস্টেমসহ নানা সুবিধা থাকবে। ভবন নির্মাণ শেষ হলে দ্রুত অন্যান্য যন্ত্রাংশ সংযোজন হবে নভোথিয়েটারে।
২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে নভোথিয়েটার স্থাপনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন। মূলত এরপর থেকেই শুরু নভোথিয়েটারের স্বপ্নযাত্রা।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, এটি রাজশাহীবাসীর জন্য স্বপ্নের একটি প্রকল্প। রাজশাহীতে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে নভোথিয়েটার নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ে কাজটি যাতে শেষ করা যায়, সেজন্য তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিচ্ছেন।