শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শক্তিশালী বিদ্রোহী নিয়ে অস্বস্তি আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে

দিরাই পৌরসভা

মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ

দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় অনেকটাই অস্বস্তিতে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিদ্রোহীদের নিজস্ব ভোট বলয় থাকায় নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে দলীয় প্রার্থীদের। বিদ্রোহীরা চমক দেখাতে পারেন, এমনও মনে করছেন অনেকে। ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আটজন। আওয়ামী লীগ থেকে যুবলীগ নেতা বিশ্বজিৎ রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তার বিপরীতে হয়েছেন মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান মেয়র মোশাররফ মিয়া। বিগত সময়ে তিনি নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত হলেও দলীয় প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে তার। পৌর এলাকার ভোটারবহুল এলাকায় তার জন্ম। এদিকে বিশ্বজিৎ ও মোশাররফ দুজনই স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তার অনুসারী। শেষ মুহূর্তে এসে এমপির হস্তক্ষেপে ‘মিনিমাইজ’ না হলে বিদ্রোহীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হবে নৌকার প্রার্থীকে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ মিয়া বলেন, ‘দুর্দিনে দলের জন্য রাজপথে ছিলাম। দল থেকে আমি মনোনয়ন চেয়েছি। কিন্তু দলের নীতিনির্ধারকরা ভুল ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেন। তাই জনগণ ও পৌরবাসীর অনুরোধেই আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। নির্বাচনে পৌরবাসী আমাকেই মূল্যায়ন করবেন বলে বিশ্বাস করি।’ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘ভোটারদের ভালোবাসা নিয়ে আমি তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। পৌরসভায় আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত নই। কেন না দিরাইয়ের আওয়ামী লীগ পরিবার নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ।’ অন্যদিকে সাবেক ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তার বিপরীতে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর শক্তিশালী অবস্থান থাকায় ধানের শীষের প্রার্থীর জন্য ভোটের মাঠ অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘এখানে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হবে। আমরা এ ব্যাপারে ভোটারদের ধারণা দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর