শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন ৪৩তম বিসিএসে

আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের অনার্স শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় যেসব পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন কিন্তু করোনার কারণে পরীক্ষা শেষ হয়নি, তারা অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে যেসব শিক্ষার্থী অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিলেও প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় এক বা একাধিক কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছেন কিন্তু এখনো উত্তীর্ণ হননি, তারা এই সুযোগের বাইরে থাকবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রফেশনাল কোর্সে (বিবিএ, সিইসি, বিএড অনার্স এবং ইসিই) যেসব শিক্ষার্থী প্রথম  সেমিস্টার থেকে সপ্তম সেমিস্টারের সব কোর্সে উত্তীর্ণ হয়ে অষ্টম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন কেবল তারাই ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, আসন্ন ৪২ ও ৪৩তম বিসিএসের নতুন সার্কুলার প্রকাশসহ আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা। সংগঠনটি বেশ কিছুদিন যাবৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী। তিনি বলেন, করোনাকালে অনেকের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা এক বছর নষ্ট এবং অনেকের আবেদনের বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে যা মেধাবীদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বয়সসীমা না বাড়িয়েই এর মধ্যে হঠাৎ পিএসসি ৪২ ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার দিয়েছে, যা ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য কাম্য ছিল না।

তিনি বলেন, ‘সেশনজটসহ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রায় ৩০ বছর বয়স পার করে ফেলেন সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রের উন্নতির প্রয়োজনে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা একটি যৌক্তিক দাবি। বিশ্বের উন্নত-উন্নয়নশীল ১৬২ দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ এবং এর ঊর্ধ্বে, সেখানে বাংলাদেশে কেন ৩৫ হবে না?’ এসব বিষয় বিবেচনা করে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে আসন্ন বিসিএসের নতুন সার্কুলার প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ করা, অযৌক্তিক আবেদন ফি কমিয়ে ৫০-১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ, নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া এবং তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর