দৃষ্টিনন্দন ও যানজটমুক্ত শহর গড়ে তুলতে খুলনা নগরীর ময়লাপোতা থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত শেরেবাংলা সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কে ২২৮টি অবৈধ স্থাপনা উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সিটি করপোরেশন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) যৌথভাবে সীমানা নির্ধারণ করে এসব স্থাপনা চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে উচ্ছেদ নথিও পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, চার লেনের প্রশস্তকরণ কাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা রয়েছে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে। এখানে কয়েকটি ওষুধের দোকান ও হোমিওপ্যাথি কলেজের অভ্যন্তরে প্রায় ১৫ ফুট পর্যন্ত সড়কের জায়গা রয়েছে। তবে এই জমি কেডিএর কাছ থেকে বরাদ্দ নেওয়ার কথা বলছে প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সড়কের মাঝে ওজোপাডিকোর বিদ্যুতের খুঁটি, বিটিসিএল ও বেসরকারি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির লাইন রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে সড়কের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। ময়লাপোতা মোড়ে ৭৫ ফুট চওড়া সড়কের জায়গার মধ্যে প্রায় ১৫ ফুট অবৈধ দখলে। এ বিষয়ে কেডিএ কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রশাসনের মাধ্যমে উচ্ছেদে যেতে হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ, প্রশস্ত ফুটপাথ করা হবে। এ কাজে ডিজাইন তৈরি করা হচ্ছে।
অবৈধ দখলের বিষয়ে সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, অবৈধ দখলবাজির সঙ্গে আপস করা হবে না। পরিকল্পিতভাবে সড়ক প্রশস্ত হলে আগ্রামী ১০০ বছর যারা এই শহরে বসবাস করবেন তারা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।
জানা যায়, খুলনা-সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মোংলা, কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা রুটের প্রায় সব যাত্রী এ সড়ক দিয়ে শহরে প্রবেশ ও কাজ শেষে বের হন। এতে প্রতিদিন অসংখ্য রিকশাভ্যান, ইজিবাইক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে যানজট তৈরি হয়। অন্যদিকে গল্লামারী ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি- বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। এসব অঞ্চলে বসবাসকারীরাও প্রতিনিয়ত সড়কটি ব্যবহার করেন। ফলে সড়কে ব্যস্ততা বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় এটি চার লেনে প্রশস্ত করা হচ্ছে।