রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে জরুরি সমন্বিত ফর্মুলা

সেমিনারে অভিমত বিশেষজ্ঞদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে একটি সমন্বিত ফর্মুলা তৈরি করা জরুরি। এজন্য ক্রয়মূল্য, প্রিমিয়াম কস্ট ও ডলার রেটকে বিবেচনায় নিতে হবে। মূল্য ঘন ঘন যাতে ওঠানামা না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে, ঘন ঘন পরিবর্তন হলে গ্রাহকের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে। গতকাল এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার আয়োজিত ‘এলপিজি প্রাইসিং জটিলতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, সরকার চায় এক সময় সব মানুষ বায়োমাস থেকে সরে আসবে। সেখানে ফুয়েল মিক্স থাকতে পারে। সোলার থাকবে। গ্রামের মায়েরা কমার্শিয়াল ফুয়েল ব্যবহার করবে। প্রাইস সমন্বয় করতে হবে। খুব বেশি ওঠানামা করতে পারবে না। বেশি হলে শকড হতে পারে। এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আজম জে চৌধুরী বলেন, এলপিজির মার্কেট ২০১৬ সালে শুরু হয়েছে। বর্তমান প্রাইসে ব্যবসায় সবাই লোকসান দিচ্ছে। প্রাইস ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় নিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। অটোমেটিক প্রাইসিং ফর্মুলায় যেতে হবে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান বলেন, এলপিজির ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই। ভোক্তা যাতে সব ধরনের পণ্য ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারে, সরবরাহকারীও যাতে যৌক্তিক মুনাফা পায়, অস্বাভাবিক মুনাফা করতে না পারে। স্বচ্ছতা না থাকলে নানা ম্যানুপুলেশন হতে পারে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব ডিভিশন (সেলস) প্রকৌশলী জাকারিয়া জালাল। তিনি বলেন, ২০১৫ থেকে এলপিজির চাহিদা ব্যাপকহারে বেড়েছে। বর্তমানে বার্ষিক চাহিদা ১.২ মিলিয়ন টন। সরকারি কোম্পানি মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র ১.৫ শতাংশ। সরকার ৫৬ কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছে, এর মধ্যে ২৮ কোম্পানি ব্যবসা করছে, ২০ কোম্পানি আমদানি পর্যায়ে আছে। মোট বিনিয়োগ ৩ বিলিয়ন ডলার। জাইকার সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশে ২০২৫ সালে এলপিজির চাহিদা ৩ মিলিয়ন টন ও ২০৪১ সালে হবে ৬ মিলিয়ন টন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর