রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে আলোচিত সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গত সোমবার ভোরে রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃত মামুন খুন-ডাকাতিসহ ২৭টি মামলার আসামি। ডিএমপির এডিসি (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে মর্মে তথ্য পায় পুলিশ। বিষয়টিতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রেফতার মামুন এক সময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যায়। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেফতার হয়। এরপর ১০ বছর সাজা ভোগের পর ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমম্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হয়। মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চাঁদা দাবি করত। অপরাধ জগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।