চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপিতে চলছে ‘প্লাস-মাইনাসের’ খেলা। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে জনপ্রিয় নেতাদের বাদ দেওয়ার পর উপজেলা এবং পৌরসভা আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে চলছে ‘মাইম্যান’ ফর্মুলা অনুসরণের তোড়জোড়। ফলে অন্তঃকোন্দলে জর্জরিত উত্তর জেলা বিএনপির গৃহদাহ আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। তবে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার দাবি করেন- সব নেতার অনুসারীদের সমন্বয় করেই পৌরসভা ও উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। দলের জন্য যাদের ত্যাগ রয়েছে, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘জেলা আহ্বায়ক কমিটি থেকে তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার উপজেলা কমিটিতে প্লাস-মাইনাসের খেলা চলছে। উপজেলা ও পৌর কমিটিতে যদি অভিন্নভাবে ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে উত্তর জেলা বিএনপিতে আর রাজনীতি করার মতো পরিবেশ থাকবে না।’ জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অন্তঃকোন্দলে জর্জরিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কার্যক্রম চাঙা করতে আগের কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারকে। নতুন আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণার পর কোন্দল নিরসনের পরিবর্তে আরও গুরুতর রূপ নেয় দলীয় কোন্দল। মূলত আহ্বায়ক কমিটি থেকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব কারাবন্দী আসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা গিয়াস কাদের চৌধুরী, এস এম ফজলুল হক, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, এমডি কামাল উদ্দিন ও মোস্তাফা কামালের অনুসারীদের বাদ দেওয়ার পর ফুঁসে ওঠে উত্তরের তৃণমূল। জেলার ‘মাইম্যান’ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে গিয়ে বাদ দেওয়া হয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ভিপি নাজিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব চৌধুরী, আবদুস শুক্কর মেম্বার, সোলায়মান বাদশা, মনির তালুকদার, জালাল আহমদের মতো তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতাকে। এ কোন্দলের জের ধরেই একাধিকবার কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার পরও বাতিল করতে হয় কর্মসূচি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি থেকে কেন বাদ পড়লাম নিজেও জানি না। আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকার কারণে মামলা এবং হামলার শিকার হয়েছি। এখন দল চাইলে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকব। নইলে জিয়া আদর্শ ধারণ করে বেঁচে থাকব।’