এক ভবনেই কাটবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সংকট-সমস্যা। বদলে যাবে হাসপাতালের সেবার ধরন। হাসপাতালের মূল ভবনের পেছনে নির্মাণ করা হবে আধুনিক সুবিধা সংবলিত পাঁচতলাবিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ভবন। ৭ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৩২৫ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করবে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে কার্যাদেশ। শিগগিরই শুরু হবে নির্মাণ কাজ। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোহসীন বলেন, ‘চমেক হাসপাতাল পুরো চট্টগ্রাম বিভাগের চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু এখানে অবকাঠামো, শয্যা, দূর-দূরান্তের রোগীর স্বজনদের আবাসন, চিকিৎসকদের জন্য ডরমেটরি, ফার্মেসি, ওষুধ সংরক্ষণসহ নানা সংকট আছে। এ সব সমস্যা নিরসনে মাল্টিপারপাস সুবিধা সংবলিত বড় একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। শিঘ্রই কাজ শুরু হবে।’ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাল্টিপারপাস ভবনটি হবে পাঁচতলা বিশিষ্ট। ৬ হাজার ১২০ বর্গফুট আয়তনের নিচতলায় থাকবে ৬০ জন ধারণ ক্ষমতার ক্যান্টিন, ৪০ জন রোগীর সহযোগী থাকার ব্যবস্থা, সুপরিসর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, পৃথক ফার্মেসি, নারীবান্ধব পরিবেশ (ব্রেস্ট ফিডিং রুমসহ), নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক টয়লেট। ৬ হাজার ১২০ বর্গফুট আয়তনের প্রথম তলায় থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ বৃহৎ আকারের ওষুধ স্টোর, ইক্যুইপমেন্ট ও ইপিআই স্টোর। ৬ হাজার ২৫ বর্গফুট আয়তনের দ্বিতীয় তলা ও ৫ হাজার ৩১০ বর্গফুট আয়তনের তৃতীয় তলায় থাকবে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের জন্য ১৪টি ডরমিটরি, পৃথক ডাইনিং, কিচেন, রিক্রেয়শন ও জিমনেশিয়াম রুম। থাকবে গেস্ট লাইঞ্জ। ৫ হাজার ৬০ বর্গফুট আয়তনের চতুর্থ তলায় চিকিৎসকের জন্য থাকবে ৪৩২ বর্গফুটের অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত ডরমিটরি, তিনটি প্লাটিনাম স্যুইট, বড় আকারের হল রুম, কিচেন রুমসহ নানা সুবিধা।
জানা যায়, বর্তমানে হাসপাতাল ক্যাম্পাস এলাকায় আবাসিক এলাকা থাকলেও তা অপ্রতুল। তাছাড়া ইন্টার্নি চিকিৎসকদের জন্য নেই আবাসন ব্যবস্থা। হাসপাতালের নিচতলায় একটি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থাকলেও সেটির বিরুদ্ধে মূল্য বেশি নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বর্তমানে রোগীর স্বজনদের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে মাল্টিপারপাস ভবনটি নির্মাণ করা হলে এসব সমস্যা আর থাকবে না বলে জানা যায়।