রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্ষতিপূরণের লোভে সড়কের দুই পাশে স্থাপনা তৈরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সড়কের দুই পাশের জমির ক্ষতিপূরণের মূল্য বেশি পাওয়ার আশায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরের জমির মালিকরা বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করছেন। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন যারা নতুন অবকাঠামো তৈরি করছেন তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটি সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক করপোরেশন প্রকল্পের অধীনে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ন পর্যন্ত ১৯০ কি.মি ছয় লেনের কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে সড়কের দুই পাশে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। সড়কটির পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর এলাকায় জমির মালিকরা মূল্য বেশি পেতে সড়কের উভয়পাশে রাতারাতি সাইনবোর্ড সর্বস্ব পাকা ও আধা পাকা বাসা এবং নাম সর্বস্ব দোকানপাট নির্মাণ করছেন। মহাসড়কের বিধিমালা অনুযায়ী সড়কের ওপরে, নিচে বা পরবর্তী ১০ মিটারের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না মর্মে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সাইনবোর্ড টানিয়েছে। এরপরও তা উপেক্ষা করে অবৈধ নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। জমির মূল্যের তিন গুণ এবং অবকাঠামোর মূল্যের দ্বিগুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এমন খবরে চলছে এই নির্মাণ কাজের অশুভ প্রতিযোগিতা। পীরগঞ্জের বড়দরগাহ থেকে দক্ষিণে খেদমতপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কি.মি এলাকা অধিগ্রহণের আগেই পুরাতন টিনের ছাউনি দিয়ে ঘরের চালা আর ঢালাইকরা একতলা ও দ্বিতল ভবনের কাজ করা হয়েছে। সড়কটির, বড়দরগাহ, রাউতপাড়া, শুকান চৌকি, লালদীঘি, জামতলা, সোনাকান্দর, বাসস্ট্যান্ড, আংরারব্রিজ, উজিরপুর, মজিদপুর, খেদমতপুর, তুলারাম মজিদপুর, মাদারহাট ও ধাপেরহাটসহ বেশ কিছু স্থানে রাতারাতি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া মিঠাপুকুরে শঠিবাড়ী ও দমদমা এলাকাতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু স্থাপনা।

এমন কি অন্যের জমি লিজ নিয়েও অবকাঠামো নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে।

সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কের কাজ শুরু করার আগে জমির স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। পরপর তিনবার ভিডিও চিত্র ধারণ করে জেলা প্রশাসন নিয়ে যৌথ তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যারা নতুন অবকাঠামো তৈরি করছেন তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর