২০১৮ সালের মে মাসে কেসিসি নির্বাচন ও একই বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনায় সীমিত পরিসরে মাঠে ছিল বিএনপি। পর পর দুটি বড় নির্বাচনে পরাজয়ের পর মাঠের রাজনীতিতে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে দলটি। পাশাপাশি রাজনৈতিক হামলা-মামলা, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় হতাশা রয়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘খুলনা সমাবেশ’ ঘিরে রাজনৈতিক আন্দোলনে আবারও সক্রিয় হয়েছে বিএনপি। সারা দেশে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে ছয়টি সিটি করপোরেশন এলাকায় মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, খুলনায় সমাবেশ ঘিরে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিভেদ মিটিয়ে সবার সমন্বয়ে ১২টি উপকমিটি গঠন, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। তবে সমাবেশস্থলের অনুমতি নিয়ে টালবাহানা ও হঠাৎ করে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এসব ক্ষেত্রেও কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির নগর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, সমাবেশ সফল করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সমাবেশস্থল নির্ধারণ ও পুলিশের গ্রেফতার অভিযান বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা শহীদ হাদিস পার্কে সমাবেশের কথা বলেছি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেখানে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না এ ধরনের মৌখিক কিছু কথা বলেছে। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের যারা সংগঠিত করছে তাদের নিবৃত করতে পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে।
তবে সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জানা যায়, হাদিস পার্কের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে বিএনপি মহারাজ চত্বর, শিববাড়ি বাবরি চত্বর বা সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে।
নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আগেভাগেই সমাবেশস্থলের অনুমতি না দিয়ে সরকার বিএনপিকে টেনশনে রাখতে চায়। আর গ্রেফতার অভিযান করে কখনই সমাবেশ ঠেকানো যায়নি। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। এই সমাবেশটি খুলনায় মহাসমাবেশে রূপ নেবে। আর এর মধ্য দিয়েই আমরা মাঠের রাজনীতিতে ফিরতে চাই। এটা নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।