আগের সপ্তাহের শেষদিকে উত্থানে ফিরলেও আবারও দরপতন দিয়ে শুরু হলো নতুন সপ্তাহ। গতকাল সপ্তাহের প্রথম দিনে দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দরপতন হয়েছে। দুই বাজারেই সবকটি মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে দাম কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে শুরু হয় দিনের লেনদেন। তবে দিন শেষে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমে যায়। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১২০টি। আর ১২৬টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৫ টাকা কমে দিনশেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর হয়েছে ৮০ টাকা ৫০ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে রবির শেয়ার দর হয়েছে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা। ৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট পাওয়ার, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মা, ওয়ালটন, জিবিবি পাওয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।