কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের মামলা, হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নাগরিক সমাজের ৫১ জন। গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, কারাগারে আটক অবস্থায় লেখক মুশতাকের মৃত্যুকে আমরা ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড’ বলে মনে করি। এই হত্যাকান্ডে ঘটনায় প্রতিবাদ করায় আন্দোলনরতদের ওপর পুলিশি হামলা ও খুলনায় শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় বিবৃতিদাতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া শাহবাগ থেকে আটক সাতজনের নামে নিবর্তনমূলক মামলা করায় তারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে সই করেছেন আনু মুহাম্মদ, শাহীন আনাম, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রেহনুমা আহমেদ, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শহিদুল আহমেদ, সি আর আবরার, সামাজিক কর্মী, খুশি কবীর, ফরিদা আক্তার, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, হানা শামস আহমেদ, নাসরিন খন্দকার, সায়দিয়া গুলরুখ, মাহা মির্জা, স্বপন আদনান, আজফার হোসেন, দীনা সিদ্দিক, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সৌভিক রেজা, আদিলুর রহমান খান, রোবায়েত ফেরদৌস, কাজলী সেহরীন ইসলাম, ওমর তারেক চৌধুরী, হাসনাত কাইয়ুম, নাসিরুদ্দিন এলান, নুর খান, নাফিসা তানজীম, সাদাফ নূর, তাঞ্জিম ওয়াহাব, খন্দকার তানভীর মুরাদ, বর্ণালি সাহা, বীথি ঘোষ, অমল আকাশ, রেবেকা নীলা, রুশাদ ফরিদী, পার্সা সাঞ্জানা সাজিদ, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা পিয়াস, আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান, অরূপ রাহী, শিরীন হক, মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী, হামিদা হোসেন, বাকী বিল্লাহ, রুহি নাজ, অনুপম দেবাশীষ রায়, সায়েমা খাতুন, বিনা ডি কস্তা, গবেষক রোজীনা বেগম ও মাইদুল ইসলাম।