সপ্তাহের শেষ দিনে গতকাল দেশের শেয়ারবাজারে দামি শেয়ারের দরপতন হয়েছে। তবে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের কিছুটা পতন হয়েছে। ডিএসইতে শেয়ার দাম হাজার টাকার ওপরে এমন ৮টি কোম্পানির মধ্যে ৭টির-ই দরপতন হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে- রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, মেরিকো, বার্জার, লিন্ডে বিডি, ওয়ালটন ও রেনেটা। একমাত্র ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ার দাম বেড়েছে। দামি শেয়ারের দরপতন হলেও ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় রয়েছে ১২২টি। আর ১১৫টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হলেও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৬৮ পয়েন্টে উঠে আসে। তবে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮০৯ কোটি ৫০ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৭৯ কোটি ৭৩ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর লিমিটেডের শেয়ার।
কোম্পানিটির ৯৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ওঠে ৮৩ টাকা ৬০ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রবি। এছাড়া, ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লাফার্জহোলসিম, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, জিবিবি পাওয়ার, লুব রেফ, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৮টির এবং ৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।