শুক্রবার, ১২ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সুশাসনের অভাবে দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না

-জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুশাসনের অভাবে দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, স্বৈরতন্ত্র আর সুশাসনের অভাবের কারণে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তাতে গণতন্ত্রচর্চা সম্ভব নয়। নোয়াখালীর বসুরহাটের মতো সারা দেশেই অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাই দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন জন্ম দিয়েছে।  জাপার বনানী কার্যালয়ে গতকাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এনায়েতুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন দলের অর্ধশত নেতা-কর্মীর যোগদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

 জাপায় যোগদানকারীদের স্বাগত জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ১৯৯১ সালে পলীবন্ধু রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে। বিএনপি ক্ষমতায় বসে দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, যা এখনো চলছে। পশ্চিম পাকিস্তানিদের বৈষম্যের প্রতিবাদে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এখন ক্ষমতাসীন দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না। ক্ষমতাসীনরা টেন্ডারবাজি, দলবাজি, চাঁদাবাজি করে দেশের মানুষের শান্তি হরণ করেছে। ’৯১ সালের পর থেকে শুধু লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়েছে, রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির টেন্ডারবাজি, দলবাজি, দুর্নীতি, দুঃশাসন,  বৈষম্য আর নির্যাতনে স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।  স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মূল্যায়ন করলে মনে হচ্ছে ’৯১ সালের পর থেকে দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পাচ্ছে না। তাই স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে নতুন করে সংগ্রাম শুরু করেছে জাতীয় পার্টি। সবাইকে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে যোগ দিতে উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তুলনায় জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশের মানুষ বেশি সুশাসন ভোগ করেছে। জেলেরা বাজারে মাছ বেচতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিতে হয়। রাস্তায় হকারদের দোকান করতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগকেও চাঁদা দিতে হয়। দেশের মানুষ ভালো নেই। ১৯৯১ সালের পর বিএনপি হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে যে দুর্নীতি ও দুঃশাসন চালু করেছিল, তা গেল ১২ বছরে আরও সম্প্রসারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মানুষের মানবাধিকার খর্ব করেছে। বর্তমান সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মানুষের বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করেছে। কার্টুনিস্ট কিশোর আর লেখক মুশতাককে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছে, মুশতাক কারাগারেই মারা গেছেন। দেশে আইনের শাসন নেই তাই প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে কিন্তু নির্যাতিতরা বিচার পাচ্ছে না। 

আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী মীর আবদুস সবুর আসুদ, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নাজমা আকতার, মনিরুল ইসলাম মিলন, মোবারক হোসেন আজাদ, বেলাল হোসেন, মাখন সরকার প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর