শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার কারণে চট্টগ্রামে নেই বর্ণিল ইফতারির আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের ইফতারির রকমারি আয়োজনেও। হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে নেই ইফতারি বিক্রির জৌলুস। নেই নিত্যনতুন আইটেম তৈরির প্রতিযোগিতা। অভিজাত হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে ফুটপাথ সবখানেই অভিন্ন চিত্র। অভিজাত রেস্টুরেন্ট বনজৌর রেস্টুরেন্টের পরিচালক (অপারেশন) আক্কাস উদ্দিন জানান, করোনা মহামারীর কারণে অন্যান্য বারের মতো বর্ণিল ইফতারির আয়োজন নেই। টেকওয়ে এবং হোম ডেলিভারির মধ্যে ইফতারির আয়োজন সীমাবদ্ধ থাকছে। ইফতার সামগ্রী তৈরি থেকে ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে গুরুত্ব  দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়গুলো। নিশ্চিত করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। সরকারি নির্দেশনা মেনে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার বা ইফতার পার্টি আয়োজনের কোনো সুযোগ থাকছে না। জানা যায়, করোনা মহামারীর পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত       করেই চট্টগ্রামের হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতারির আয়োজন করা হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে ইফতার করার ব্যবস্থা না থাকলেও রয়েছে হোম ডেলিভারি ও টেকওয়ের ব্যবস্থা।

খাবার তৈরি থেকে প্রদর্শন,  ক্রেতাদের প্রবেশ এবং তাদের হাতে পণ্য তুলে দেওয়া পর্যন্ত  প্রতিটি ধাপে নিশ্চিত করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। জীবাণুর সংক্রমণ রোধে নেওয়া হয়েছে অন্যান্য সব স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা।

অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোতে দেশীয় ইফতারি ম্যানুর পাশাপাশি অ্যারাবিয়ান, ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় অভিজাত রেস্টুরেন্টের ইফতারির ম্যানুতে নতুন কোনো সংযোজন না থাকলেও বিগত সময়ের স্পেশাল মাটন হালিম, চিকেন হালিম, মেজবানি বিফ, মাটন তেহেরী, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি, পরোটা, বাটোরা, চিকেন সাসলিক, ফিস কোফতা, তান্দুরী চিকেন, চিকেন ইরানী কাবাব, চিকেন টাংগরি কাবাব, নার্গিস কোফতা, স্পাইসি বিফ চপ, ফ্রাইড চিকেন, প্রণ কাটলেট, চিকেন ললিপপ, গ্রিল চিকেন, চিকেন কাটলেট, বিফ জালি কাবাব, এগ  ভেজিটেবল রোল, জাফরন জিলাপি, শাহী জিলাপি, মিষ্টি দই, ফিরনি, পাটি সাপটা পিঠাতে সীমাবদ্ধ থাকছে আয়োজন। অভিজাত হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোর পাশাপাশি ফুটপাথ এবং মাঝারি মানের রেস্টুরেন্টুগুলোতেও ছোলা, বেগুন, পিঁয়াজু, চপ, হালিম, জিলাপিসহ পুরনো ইফতারি আইটেমের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে আয়োজন।

চট্টগ্রাম বারের আইনজীবী রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ইফতারের বর্ণিল আয়োজন থাকে হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে। করোনার কারণে এবার তা নেই। হোটেল রেস্টুরেন্টগুলো পূরনো ম্যানুতে সীমাবদ্ধ থাকছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর