কভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ চলছে। দেশে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা অনেকেই বিপত্তিতে। কেউ ঢাকার বাইরে চলে গেছেন আবার অনেকে অন্য জেলা থেকে এসে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যারা ঢাকার বাইরে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।

এ পাঁচটি হাসপাতাল হলো কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি, জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (সদর উপজেলা ছাড়া) ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করা যাবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যারা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন এক কেন্দ্র থেকে তারা অন্য কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না। কিন্তু যারা দেশে চলমান বিধিনিষেধের আগে স্থান পরিবর্তন করেছেন বা প্রথম ডোজ নেওয়ার পর স্থান পরিবর্তন করেছেন তাদের জন্য ভেবে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কেউ যদি ঢাকায় থেকে চিন্তা করেন যে কেন্দ্রে প্রথম ডোজ নিয়েছেন সেখানে না নিয়ে আরেক কেন্দ্র থেকে নেবেন তেমনটি কিন্তু হবে না। শুধু যারা প্রথম ডোজ নেওয়ার পর স্থান পরিবর্তনের কারণে বিপাকে পড়েছেন তাদের জন্যই এ সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে আবার কেউ যদি স্থানীয় পুলিশ হাসপাতালে চলে যান বা অন্যান্য জায়গায় যান তাও হবে না। তাকে নির্ধারিত বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতালেই ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিনেশন সেন্টার পরিবর্তন বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভ্যাকসিন কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে ভ্যাকসিন গ্রহণের তথ্য সুরক্ষা ওয়েব পোর্টালে হালনাগাদ করতে হবে।