বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সেবা আরও সহজ ও ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে ‘আমি প্রবাসী’ নামের একটি অ্যাপ। মুজিববর্ষের একটি উদ্যোগ হিসেবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং একটি বেসরকারি অ্যাপস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি গতকাল সকালে অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অ্যাপের উদ্বোধন করেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসী কর্মীরা উপকৃত হবেন। দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের অবদানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনার পরিমাণ ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, জনশক্তি রপ্তানি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তবে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স যেন ভালোভাবে ব্যয় হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এ অ্যাপ অভিবাসনের লক্ষ্য পূরণে অনেক দূর এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের বিদ্যমান ডাটা ব্যাংকে অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যবহারকারীরা এ অ্যাপটিকে একটি ঐচ্ছিক চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে বিএমইটির বিদ্যমান সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা ঘরে বসেই নিজস্ব স্মার্টফোন থেকে বিএমইটির ডাটা ব্যাংকে অন্তর্ভুক্তির সুবিধা পাবেন।
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অ্যাপটি নির্মাণ করেছে থানে সিস্টেমস লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আশা করেন, এ অ্যাপসের সবগুলো সেবা প্রবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে প্রতারণা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং উচ্চ অভিবাসন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।