বাংলা সাহিত্যের মহিরুহ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির সংকটে-সংগ্রামে, আনন্দ-ভালোবাসায় তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণার সঙ্গী। তার অমর সৃষ্টি কবিতা, গান ও ছোটগল্পে উঠে এসেছে সম্প্রীতি ও সাম্যের বাণী। আর কবির সেসব অমর সৃজনশীলতা দিয়েই ১৬১তম জন্মদিনে কবিগুরুকে স্মরণ করেছেন তাঁর সুহৃদরা। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনার কারণে অনলাইনে কবিগুরুর জন্মদিন উদ্্যাপন করেছে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। ‘ধর নির্ভয় গান’ শিরোনামে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে ভার্চুয়াল এই আয়োজনে গানে ও নাচে কবিকে মূর্ত করে তোলেন শিল্পীরা। গতকাল রাত নয়টায় ছায়ানটের ফেসবুক পেজ (facebook.com/ groups/ chhayanaut) ও ইউটিউব চ্যানেলে (youtube.com/ Chhayanaut DigitalPlatform) সম্প্রচারিত হয় এ অনুষ্ঠান। ভার্চুয়াল আয়োজনে গতকাল ২৫ বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে রবীন্দ্রজয়ন্তী। এ ছাড়া কবির রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ প্রবন্ধ, নিবন্ধ কিংবা জন্মদিনের শুভাশিষ জানানো প্রতিবেদন। সরকারি-বেসরকারি চ্যানেলগুলো দিনভর প্রচার করেছে রবীন্দ্র সৃষ্টিস্নাত নানা অনুষ্ঠানমালা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে রক্ষার আহ্বান : উন্নয়নের নামে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্মারক, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বহুসংখ্যক বৃক্ষরাজি কেটে হোটেলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন। গাছ কেটে ইটপাথরের স্থাপনা নির্মাণ করলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তার স্বকীয়তা হারাবে বলেও মনে করেন সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা। গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি তারা আহ্বানও জানান। বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলো হলো-সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ পথ নাটক পরিষদ, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, আইটিআই, বাংলাদেশ কেন্দ্র ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার।