বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

শেরেবাংলা মেডিকেলে চরম দুরবস্থা

শীতাতপ মেশিন বিকল দুর্গন্ধময় ওয়ার্ড, ডাক্তার নার্সদের দুর্ব্যবহার

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু হৃদরোগী চিকিৎসার ভরসাস্থল করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চরম দুরবস্থা বিরাজ করছে। সক্ষমতার চার গুণ রোগী ভর্তি রয়েছে ওই ওয়ার্ডে। পিনপতন নীরবতা থাকার কথা থাকলেও রোগী ও স্বজনদের পদভারে সব সময় মুখর ওই ওয়ার্ড। কেন্দ্রীয় শীতাতপ যন্ত্র নিয়ন্ত্রিত সিসিইউ বিভাগের আটটি মেশিনের সবগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিকল। বৈদ্যুতিক পাখাগুলোও কার্যক্ষমতা হারিয়েছে অনেকাংশে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিকল ও পাখাগুলো কার্যক্ষমতা হারানোয় তীব্র গরমে ঘামে ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা রোগী ও স্বজনদের। ওয়ার্ড, বাথরুম, টয়লেট এতটাই নোংরা ব্যবহারের অনুপযোগী। রয়েছে ডাক্তার এবং চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট। হাসপাতালের পরিচালক স্বীকার করেছেন কার্ডিওলজি বিভাগের (সিসিইউ) দুরবস্থার কথা। এদিকে বরাদ্দ না থাকায় সিসিইউ বিভাগের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সচল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা। শেরেবাংলা মেডিকেলের মূল ভবনের পূর্ব পাশে ‘আই’ এবং ‘এফ’ ব্লক ঘেঁষে মুমূর্ষু রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য করোনারি কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০২ সালে। মোট ১২টি শয্যা রয়েছে সিসিইউ বিভাগে। গতকাল পর্যন্ত এ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ৪৮ জন রোগী। এ কারণে শয্যা ছেড়ে ওয়ার্ডের মেঝেতে স্থান হয়েছে রোগীদের। সিসিইউ বিভাগে সব সময় পিনপতন নীরবতা থাকার কথা থাকলেও রোগীর ভারে তা সরগরম। ৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সবগুলো বিকল থাকায় অসহ্য গরমে ঘেমে একাকার রোগী ও স্বজনরা। ওয়ার্ডের বৈদু্যুতিক পাখাগুলোও তেমন ঘুরছে না। এ কারণে কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান এনে, আবার কেউ হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে গরমের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। ওয়ার্ডের সর্বত্র নোংরা। বাথরুম, টয়লেটগুলোও দুর্গন্ধময়, নোংরা ও ব্যবহারের অনুপযোগী। একমাত্র এনজিওগ্রাম মেশিনটিও দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বিকল। এ কারণে হৃদযন্ত্রে রিং পরানো ও পেসমেকার পরানোসহ সব সেবা বন্ধ রয়েছে। একজন রেজিস্ট্রার এবং তিনজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সিসিইউ বিভাগের রোগীদের। পর্যাপ্ত নার্স থাকলেও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন মাত্র একজন। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সিসিইউ বিভাগের ডাক্তার-নার্সরা সহনশীল নন। ডাক্তার-নার্সদের কাছে কিছু বলতে বা জানতে চাইলে তারা তিরিক্ষি মেজাজ দেখান তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর