চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া অনেকের প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পার হওয়ার শঙ্কা আরও বাড়ছে। তবে বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সীমিত সংখ্যক টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবুও প্রথম ডোজ পাওয়া অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন। চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা না পাওয়ায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। তাছাড়া প্রতিদিনই চট্টগাম জেনারেল হাসপাতাল, চসিক জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় করছেন দ্বিতীয় ডোজের জন্য। জানা যায়, চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দকৃত টিকা প্রায় ফুরিয়ে গেছে। বর্তমানে ১ লাখেরও বেশি লোক করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাচ্ছেন না। টিকা না থাকায় গত সোমবার থেকে নগরের অধিকাংশ টিকাদান কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে প্রথম ডোজ গ্রহণকারী এসব মানুষ চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছেন। বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭২ জন। অথচ চট্টগ্রামে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন। এরপরও প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৮ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারেননি। তাদের অপেক্ষা করতে হবে নতুন টিকা আসার জন্য। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আমাদের হাতে এখনো কিছু টিকা আছে। সেগুলো যাদের প্রথম ডোজ গ্রহণের তিন মাস হয়ে যাবে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে। আপাতত টিকার স্টক শেষ। সবমিলিয়ে লাখ খানেক লোক দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন না। টিকা এলে তাদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে।