জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ ও গান্ধী আশ্রম পরিচালনার জন্য সংসদে নতুন দুটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিলে ‘দৈব-দুর্বিপাকে কোনো এলাকার সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ করতে না পারলে বিদ্যমান সীমানায় নির্বাচন করার বিধান রাখা হয়েছে। ১৯৭৬ সালের ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটিউয়েন্সিস অর্ডিন্যান্স’ রহিত করে আইনটি আনা হয়েছে। একইভাবে সামরিক শাসনামলের ‘দ্য গান্ধী আশ্রম বোর্ড অব ট্রাস্টি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৫’ বাতিল করে বাংলায় ‘গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্টি বোর্ড)’ বিলটি আনা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী দিনে বিল দুটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিল দুটি স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি, ক্ষমতা অর্পণ ও কমিশনকে সহায়তা প্রদান এবং কমিশন কর্তৃক বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে ভৌগলিক অখ তা বজায় রাখা এবং আদমশুমারির ভিত্তিতে যতদূর সম্ভব বাস্তবভিত্তিক বণ্টনের কথা বলা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিলের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইসির সীমানা নির্ধারণটির বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না। প্রস্তাবিত আইনে নতুন একটি ধারা যুক্ত করে ওই আইনের অধীনে বিধি প্রণয়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বিধি প্রণয়নের সুযোগ নেই।গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট বিলে বলা হয়েছে, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। বোর্ডের একটি তহবিল থাকবে। সরকারসহ অন্যান্য উৎস থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করবে। আশ্রমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও হস্তান্তর বোর্ডের কাছে থাকবে বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জন ট্রাস্টিকে সরকার মনোনয়ন দেবে। এ বোর্ড জনসাধরণকে শান্তি ও সম্প্রতিতে জীবনযাপনসহ সাবলম্বীকরণ সংক্রান্ত কাজ করবে। বোর্ড সুতাকাটা, বুনন, মৎস্য চাষ, কুঠির শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিধবা-এতিম-দুস্থদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ এসব কাজ করবে।