রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

এবারও লোকসানের শঙ্কায় চামড়া ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রামে ২০ শতাংশ কম পশু কোরবানির শঙ্কা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

এবারের কোরবানিতেও লোকসানের শঙ্কা করছেন চট্টগ্রামের চামড়ার ব্যবসায়ীরা। ঈদের পরপরই লকডাউন ঘোষিত হওয়ার কারণে বন্ধ থাকবে ট্যানারি ও চামড়ার আড়ত। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চামড়া ট্যানারিতে পৌঁছাতে না পারলে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। লোকসান এড়াতে লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্যানারি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা। বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়ার আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সভাপতি মোসলিম উদ্দিন বলেন, ‘এবার কোরবানিতে চামড়া নষ্ট হওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। কোরবানির পরপর লকডাউন হওয়ার কারণে সব ট্যানারি ও আড়ত বন্ধ থাকবে। সংগ্রহ করা কোরবানির চামড়াগুলো দ্রুত ট্যানারিতে হস্তান্তর করা না গেলে তা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই আমাদের দাবি গার্মেন্টসের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ট্যানারি ও কাঁচা চামড়ার আড়ত চালু রাখার।’ জানা যায়, দেশের ট্যানারি শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল পশুর চামড়ার সিংহভাগ জোগান আসে চট্টগ্রাম থেকে। যার উল্লেখযোগ্য চামড়ার সংগ্রহ করা হয় ঈদুল আজহায়। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহ হলেও এবার ২০ শতাংশ কম পশু কোরবানি হওয়ার শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই এবার প্রায় চার লাখ কোরবানির চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন চট্টগ্রাম চামড়া ব্যবসায়ীরা। আসন্ন ঈদে ৩ লাখ গরু, ৭০ হাজার ছাগল এবং ১২ হাজার মহিষের চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়েছে চামড়া আড়তদাররা। এরই মধ্যে পশুর চামড়া সংগ্রহের সব প্রস্তুতি নেওয়া হলেও লোকসানের শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানির পরপর লকডাউন শুরু হওয়ার কারণে বন্ধ থাকবে ট্যানারি ও কাঁচা চামড়ার আড়ত। এতে করে সংগ্রহ করা চামড়াগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে পচে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে আড়তদারদের। লকডাউনের কারণে যথা সময়ে কাঁচা চামড়া পরিবহন করতে না পারার শঙ্কাও করছেন তারা। তার ওপর খড়গ হবে বৈরী আবহাওয়া। গরম আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক বছর ধরে প্রচুর পরিমাণ চামড়া নষ্ট হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা এবার গরম আবহাওয়ার কারণে প্রচুর চামড়া নষ্ট হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর