চট্টগ্রামের আকাশজুড়ে গতকাল দিনভর ছিল মেঘ। ফলে কখনো মুষলধারে, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। গত তিন দিন ধরেই এরকম হয়ে আছে শ্রাবণের আকাশ। শ্রাবণের টানা বর্ষণে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। ছন্দপতন ঘটেছে জনজীবনেও। তবে লকডাউনের তৃতীয় দিনে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ ছিল অন্য দুই দিনের তুলনায় বেশি। তা ছাড়া ব্যাংক খোলা থাকায় অফিসগামীদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে। সড়কে যানবাহন না থাকায় তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রামে থেমে থেমে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। লঘুচাপের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের জন্য যেসব পূর্বাভাস আছে, সেগুলো এখনো দেখা যায়নি। তবে আগামী মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার মুষলধারে বৃষ্টিসহ চলতি সপ্তাহের পুরোটাই বৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্য ঘটেছে। এ কারণে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপে পরিণত হলে মুষলধারে বৃষ্টির পর এটি দুর্বল হয়ে যাবে। জানা যায়, কোনো স্থানে বায়ুর তাপ বৃদ্ধি পেলে সেখানকার বাতাস উপরে উঠে যায়। ফলে বায়ুর চাপ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। সেটাই নিম্নচাপ। এ নিম্নচাপ প্রায় বায়ুশূন্য অবস্থায় থাকে বলে আশপাশের অঞ্চল থেকে বায়ু প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে। এ নিম্নচাপ কেন্দ্রমুখী প্রবল ঘূর্ণি বায়ুপ্রবাহকেই বলে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়।