রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের চালিকাশক্তি বেসরকারি খাত

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের চালিকাশক্তি বেসরকারি খাত

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বেসরকারি খাতকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি গত ২৯ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘এনার্জি গোলটেবিল’ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর এটি ছিল এই কাউন্সিলের প্রথম ইন-পারসন সভা। ড. তৌফিক তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে মার্কিন সংস্থাসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকার করেন এবং এক্ষেত্রে তাদের আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশে তেল এবং গ্যাস অনুসন্ধানে, বিশেষত অফশোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে তাদের উৎসাহিত করেন। উপদেষ্টা নিরবচ্ছিন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের গবেষণা ও উন্নয়নে মার্কিন বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি মার্কিন সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ মডুলার রিঅ্যাক্টরের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বিতরণে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং মার্কিন সংস্থাগুলো সেখানে বিনিয়োগের সুযোগগুলো অনুসন্ধান করতে পারে। এই গোলটেবিল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং শেভরন, চেনিয়ার, এক্সিলারেট এনার্জি, এক্সন মোবিল, জিই পাওয়ার, সানএডিসনসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট লেভেলের কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জ্বালানি উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের জ্বালানি সম্পদ ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব, রাষ্ট্রদূত ভার্জিনিয়া ই পালমারের সঙ্গে বাংলাদেশ-মার্কিন জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত পালমার দুই দেশের জ্বালানি সহযোগিতা আরও মধুর করার লক্ষ্যে বিশেষত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের জ্বালানি নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত পালমার বাংলাদেশে কয়লাচালিত ১০টি পাওয়ার প্লান্ট বাতিল করার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

সর্বশেষ খবর