বরিশালে কোহিনুর বেগম নামে এক গৃহবধূকে হত্যা মামলায় স্বামী মোস্তফা সরদারকে খালাস দিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান খালাসের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। এর আগে ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আসামির আপিল মঞ্জুর করে ২৭ জুন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মোস্তফা সরদারকে খালাস দেয়। পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গৌরনদী উপজেলার কসবা এলাকার বাসিন্দা আসমত আলী সরদারের মেয়ে কোহিনুর বেগমের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা হাতেম আলী সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। হত্যাকান্ডের দুই মাস আগে মোস্তফা সরদার একই এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বুলু বেগমকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে মোস্তফা সরদার ও কোহিনুর বেগমের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।
২০১০ সালে কোহিনুর বেগমের বাবা আসমত আলী জানতে পারেন তার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজের কয়েকদিন পর মোস্তফা সরদারের চৌচালা ঘরের মাচার আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কোহিনুরের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে তিনি ওইদিনই বাদী হয়ে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৩১ মে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল খলিফা তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। স্ত্রী হত্যার দায়ে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আদীব আলী মোস্তফা সরদারকে মৃত্যুদন্ড দেন। যা পরে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাই কোর্টে আসে।