খুলনা মহানগরীর আহসান আহমেদ রোডে নির্মাণাধীন ফুটপাথে টাইলসের বদলে স্ট্যাম্পড কংক্রিট (হাতে তৈরি প্লাস্টার) লাগানো হচ্ছে। তুলনামূলক মজবুত না হওয়ায় এটি ব্যবহারের কিছুদিনের মধ্যে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন নগরবাসী। তাদের মতে, স্ট্যাম্পড কংক্রিট সাধারণত বাড়ির বাগান বা লনে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ফুটপাথে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের চলাচলে কংক্রিট উঠে যাবে এবং বর্ষাকালে পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে বাংলাদেশ কংক্রিট পেভার অ্যান্ড ব্লক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলনার সভাপতি মাসুদুর রহমান জানান, এটি কখনই পেভমেন্ট টাইলসের বিকল্প হতে পারে না। কাজের শিডিউলে ড্রেনের পাশে কংক্রিটের কার্ভস্টোন ও ২৫ মিলি. পুরত্বে এক ফুট বাই এক ফুট পেভমেন্ট টাইলস ব্যবহারের কথা থাকলেও এখানে খুবই সস্তা ও ক্ষণস্থায়ী মানের স্ট্র্যাম্পড কংক্রিট লাগানো হচ্ছে। দুই ইঞ্চি ঢালাই দিয়ে বানানো এ স্ট্যাম্পড কংক্রিট টেকসই হবে না। কিছুদিনের মধ্যে ঢালাই ফেটে যাবে।
এ বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সংগঠনের পক্ষ থেকে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়রকে সরেজমিন যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, এর আগে ফুটপাথের সৌন্দর্যবর্ধনে কেডিএ এভিনিউতে দুই পাশের ফুটপাথে টাইলস লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যবহার শুরুর কিছুদিনের মধ্যে ওই টাইলস ভাঙতে শুরু করায় ভোগান্তি এড়াতে এবার স্ট্যাম্পড কংক্রিট লাগানো হচ্ছে। কয়েক দফা পরীক্ষায় এর মান নিয়ে সন্তুষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে কেডিএ এভিনিউতে কম টাকায় নিম্নমানের টাইলস লাগানো হয়েছে বলে দাবি করছেন কংক্রিট পেভার অ্যান্ড ব্লক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলনার নেতারা। তারা বলেন, ওই কাজে আর্থিক অনিয়ম, টাইলস বসানোর সময় কম সিমেন্ট ব্যবহার ও টাইলসের কোনায় প্রটেকশন না রাখায় চাপ পড়ে টাইলসের ক্ষতি হচ্ছে।