শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফলাফলের আগে মাঠ ছাড়ছেন না নানক-বাবলু

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন আজ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট-৩ আসনে বহুল আলোচিত উপনির্বাচন আজ শনিবার। আওয়ামী লীগের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা আর জাতীয় পার্টির আসন পুনরুদ্ধার টার্গেটের এই নির্বাচনের দিকে চেয়ে আছে পুরো সিলেট বিভাগ। সিলেটে প্রথমবারের মতো এই নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এর আগে সিটি নির্বাচনে নির্দিষ্ট কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল ইভিএমে। শেষ সময়ে এসে উপনির্বাচনটিকে ‘প্রেস্টিজ ইস্যু’ হিসেবেই নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রচারণা শেষ হলেও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সিলেটেই অবস্থান করছেন। উপনির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা দফায় দফায় সিলেট এসে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো সিলেট আসেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার সকালে প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেলেও সিলেট ছাড়েননি তিনি। তিনি গতকাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। এদিকে, উপনির্বাচনের মাধ্যমে হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় জাতীয় পার্টি। দলীয় প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকের পক্ষে প্রচারণা চালাতে প্রায় এক সপ্তাহ আগে সিলেট আসেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার পরও তিনি সিলেট ত্যাগ করেননি।

গতকালও তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে, জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন গতকাল সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর। কাদের তাকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-৩ আসনে ভোটার প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার। ১৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটিতেই ভোট গ্রহণ হবে ইভিএমে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির জানান, নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতারোধে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া আসনটির ভোট গ্রহণ উপলক্ষে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে ইসি। তারা ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির আরও জানান, ভোট গ্রহণের দিন কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা। ৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ ভোট কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৮ জন সদস্য। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে অতিরিক্ত সদস্য। এদের মধ্যে পুলিশ আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের কাছে অস্ত্র থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবেন।

পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র‌্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে আগামী ২ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা মোকাবিলায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর