অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের পাঁচ কর্মকর্তা এবং ভর্তি বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক কার্যালয়ে ডেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিতাসের যে পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন- সাভারের উপব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান ও আবদুল মান্নান, পারসোনাল শাখার ব্যবস্থাপক হাসিবুর রহমান, করপোরেট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক মাহমুদুর রব ও ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান। এর আগে রবিবার তিতাসের সিনিয়র সুপারভাইজার সিবিএর সহসভাপতি জাকির হোসেন, সিনিয়র বিক্রয় সহকারী ফয়েজ আহমেদ লিটন ও সিনিয়র সুপারভাইজার হারুন-অর-রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এ ব্যাপারে গতকাল দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তিতাসের কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান, আবদুল মান্নান, হাসিবুর রহমান, মাহমুদুর রব তাদের নিজ নিজ অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছেন।
তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। আর আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কোম্পানির স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন এবং অবৈধ সংযোগ দিয়ে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাম উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানকে ১৮ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছে তার সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছিল আজ (গতকাল) তিনি তা জমা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে অনেক সম্পদ অর্জন করেছেন। ভর্তি বাণিজ্যে অংশগ্রহণসহ নানা অভিযোগ থাকায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিষয়ে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক।