সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে নগরীর বালুচর এলাকার একটি কনভেনশল হলে সিসিকের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আকারের বাজেট ঘোষণা করা হয়। ‘নতুন সিলেট’ গড়ার স্বপ্নে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেট অনুসারে সিসিকের নিজস্ব আয় মাত্র ৯ ভাগ। সিসিক সূত্রে জানা গেছে, এবারই প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৭৮৯ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বাজেটই ছিল সর্বোচ্চ। গতকাল বাজেট ঘোষণায় ‘নতুন সিলেট’ গড়ার কথা বলেন মেয়র আরিফ। এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাত দেখানো হয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৪ কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর কর ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের ওপর কর ২ কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার ওপর কর সাড়ে ৬ কোটি টাকা, বিজ্ঞাপনের ওপর কর সোয়া ১ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ কোটি টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে সোয়া ১ কোটি টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি দেড় কোটি টাকা। মেয়র আরিফ বলেন, ‘নগরবাসী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য বকেয়া পাওনা পরিশোধ করলে চলতি বাজেট বছরে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব খাতে সর্বমোট ৮২ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা আয় হবে।’ এই টাকা মোট বাজেটের প্রায় ৯ ভাগ। বাজেট ঘোষণার সময় সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিসিক কাউন্সিলর-কর্মকর্তা, সাংবাদিকরা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।